উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬/০১/২০২৩ ৫:৩৬ পিএম

শীতে উষ্ণতার খোঁজে কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণপিপাসুরা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। হাড় কাঁপানো তীব্র শীতের মাঝেও সাগরজলে উষ্ণতা খুঁজছেন লাখো ভ্রমণপিপাসু। তবে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়িয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।

তীব্র শীত, সূর্যের দেখা নেই। চারদিকে কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দেখা যাচ্ছে না সাগরের নীল জলরাশি। বেলা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তবে সাগরপাড়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়। সাগরতীর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। যারা উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনাজলে। মেতেছেন সমুদ্রস্নান ও সেলফিতে।

শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টা, কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্য। সূর্য দেখা মিলতেই বাড়তি আনন্দ মেতে উঠেন পর্যটকরা। বেলা আরও বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বালিয়াড়ির চেয়েও বেশি মানুষের ভিড় পড়ে যায় সাগরজলে।

সাতক্ষীরা থেকে আসা পর্যটক হামিদুর রহমান বলেন, বালিয়াড়ি দাঁড়িয়ে যখন সাগর দেখছিলাম তখন গায়ে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নামলাম তখন দেখি সাগরের জন অনেক গরম। আর নোনাজল ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। নোনাজলে বেশ মজাতেই আছি।

রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা আসিফ কামাল বলেন, সমুদ্রের নোনাজল ছেড়ে বালিয়াড়িতে উঠতে গায়ে প্রচণ্ড শীত লাগছে। তাই আবারো নোনাজলে নেমে যায়। অনেকক্ষণ ধরে নোনাজলে আছি।

তীব্র শীতের কারণে অনেক পর্যটক নোনাজল ছেড়ে উঠছেন না। বেশিরভাগ পর্যটকই সমুদ্রস্নান, নোনাজলে লাফালাফি, ওয়াটার বাইকে সমুদ্র ভ্রমণ, টিউব নিয়ে গা ভাসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এসব পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপদ করতে নজরদারি বাড়ায় লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মো জহিরুল ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দিনে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে শুরু লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের সাগরতীর জুড়ে লাখো মানুষ। যারা সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন। তাই এসব মানুষের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বালিয়াড়িতে টহল, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ ও বোট নিয়ে সাগর জলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে পর্যটকরা নিরাপদে সমুদ্রস্নান করছেন।

এদিকে পর্যটকদের হয়রানি রোধে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটক স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সৈকতসহ আশপাশের হোটেল মোটেল জোনে বিপুল সংখ্যক পর্যটক রয়েছে। এসব পর্যটক হোটেল, রেস্তোরা ও যানবাহনে কোন ধরনের হয়রানিতে যাতে না পড়ে তার জন্য সার্বক্ষণিক অভিযান চলছে। পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হচ্ছে। সুত্র : সময় টিভি

পাঠকের মতামত

উখিয়া – টেকনাফ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন পালংখালীর চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী

উখিয়া-টেকনাফের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে ...

উখিয়ায় রোহিঙ্গা-স্থানীয়দের পানি সমস্যা সমাধানে নতুন নেটওয়ার্ক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা শিবির ও পার্শ্ববর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য নির্মিত তিনটি যৌথ পাইপভিত্তিক পানি ...

ভ্যাটিকানের মানব উন্নয়ন মন্ত্রীর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভ্যাটিকানের সমন্বিত মানব উন্নয়ন মন্ত্রী কার্ডিনাল ফেলিক্স মাইকেল ...

উখিয়া-টেকনাফে শাহজাহান চৌধুরীর মনোনয়নে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের জোয়ার

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চারবারের সাবেক সাংসদ ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির ...